নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংকট নিরসনে আলোচনার উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় তাঁরা এ কথা বলেন। এদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচন নিয়ে সংলাপের সুযোগ নেই। রাজধানীতে ব্রিফিং ও আলাদা অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন।
ভোটের রাজনীতিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি হতাশাগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে সংলাপের সুযোগ নাই, সংবিধান অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত হবে।'
শনিবার সকালে রাজধানীর এফডিসিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি।
এদিকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকেলে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, ''বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী যদি বর্তমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। কারণ সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে সেই সরকার হবে বিদ্যমান সরকারেরই অনুরূপ। আমাদের দল মনে করে, সংলাপের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে অর্থবহ সমাধানে আসা সম্ভব। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আমাদের রূপরেখা আছে, যথাসময়ে আমরা তা উপস্থাপন করব।'
মির্জা ফখরুল আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সংকট নিরসনের আহবান জানান।