প্রকৃতিতে শীতের আগমনী সুর বাজতে না বাজতেই অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার একটু আগে ভাগেই আসতে শুরু করেছে অতিথিরা। উৎসাহী দর্শনার্থীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে প্রজাতি ও সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করেন প্রাণিবিদরা।
এদিকে আন্দোলনে স্থবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রকৃতিকে স্পর্শ করেনি বিক্ষোভের ঝড়।
সকালের সূর্যটা একটু একটু করে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়তে শুরু করেছে। হেমন্তের প্রথম প্রহরে শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে, শীত আসছে। ডানায় ভর করে আসছেন অতিথি পাখিরা। এরই মধ্যে লেকের পানিতে ঘাঁটি গেড়েছে ছোট সরালী ও বড় সরালী।
দিনভর তাদের সঙ্গ দিচ্ছে বিলের স্থায়ী বাসিন্দা সারস। বাহারি শাপলা রঙিন আঁচল মেলে যেন স্বাগত জানাচ্ছে তাদের। ক’দিন বাদেই এ বহরে যুক্ত হবে ল্যানজা হাঁস, ভূতি হাঁস, বালি হাঁসসহ সুদূর উত্তর থেকে ছুটে আসা নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখি।
পাখি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের আনাগোনাও বাড়বে।
এক দর্শনার্থী বলেন, ডিসেম্বরের দিকে অসংখ্য পাখি আসে। দেখা যায়, লেকের পাড়গুলোতে দর্শনার্থীরা কোলাহল করেন। এমন অবস্থা তৈরি হয় যে, পাখিগুলো সেখানে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। দর্শনার্থী হিসেবে আমরা যদি একটু সচেতন না হই তাহলে এটা আইন করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
প্রাণিবিদরা বলছেন, এবার লক্ষণ ভালো। নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই এসেছে অতিথি পাখি। বাড়তে পারে প্রজাতি এবং অতিথি পাখির সংখ্যাও। তবে সেক্ষেত্রে সবার আগে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা এসব অতিথির অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি অতিথি পাখি বিচরণের সর্বোত্তম সময়।